স্টাফ রিপোর্টার :- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পাগলা রসুলপুর বাগানবাড়ি মোড়ে সেলিম মিয়ার সিমেন্টের দোকানে ডাক্তার পরিচয় ৩০০ টাকা ভিজিটে রোগী দেখার সময় জনতার হাতে ভুয়া দু্ই ডাক্তার আটক।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় গত (১৯ জুলাই) রসুলপুর বাগানবাড়ি মোড়ে ভুয়া দুই ডাক্তার বসে অল্প ভিজিট দেখে গরিব দিন মজুর মানুষ চিকিৎসার জন্য জড়ো হয়। এসম লোক জন দেখে ঘটনা স্থলে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম উপস্থিত হন ও তাদের চিকিৎসার বিষয় জানতে চাইলে দুই ভুয়া ডাক্তার কোন সৎ উত্তর দিতে পারে নাই, তার প্রশ্নের জবাবে বলল আমরা কোন ডাক্তার নই। আমরা একটি কোম্পানির এস আর মাত্র, তাহলে ৩০০ টাকা ভিজিটে রোগী কিভাবে দেখেন জানতে চাইলে তারা বলেন এটা আমাদের অন্যায় হয়েছে, আপনারা জেনে শুনে অন্যায় কাজটি কেন করেন জানতে চাইলে তারা বলেন এইটা আমাদের ভুল হয়ে গেছে এরকম ভুল আর কখনো করব না ।
তাৎক্ষণিক সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শফিক ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেনকে বিষয়টি জানালে তিনি বিষয়টি ইউএনও কে জানাতে বলেন পরে বিষয়টি ইউএনও কে জানানো হয় এবং পরবর্তীতে আবারো পুলিশকে ফোন করলে পুলিশ আসতেছি বলে জানায়, পুলিশ আসতে দেরি হওয়ায় স্থানীয় জনতার রোষানলে ঘটে যায় অপ্রীতিকর ঘটনা কামরুল নামের একজন এসে ডাক্তার পরিচয়দানকারী মইনকে তার ছোটবেলার বন্ধু পরিচয় দিয়ে কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় ।
পরে ঘটনাস্থলে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ আসে পুলিশ কৌশলে মোজাম্মেল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ডাক্তার পরিচয়দানকারী জাকির হোসেনকে কথা বলার কথা বলে চোখের পলকেই ডাক্তারসহ মোজাম্মেলের সাঙ্গপাঙ্গরা উধাও হয়ে যায় তারা তাদেরকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পরবর্তীতে রাতের বেলায় শোনা যায় মোজাম্মেল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ডাক্তার পরিচয়দানকারী জাকির কে আটকে রেখে তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ও একটি ল্যাপটপ এর বিনিময়ে ছেড়ে দেয়,
অপর ভুয়া ডাক্তার কে বন্ধু পরিচয়ে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর মঈনের কাছ থেকেও বেশ কিছু টাকা রেখে দেওয়া হয় মোটরসাইকেল পরে তা ফেরত দেওয়া হয় কিন্তু মোজাম্মেল কর্তিক রেখে দেওয়া ২০ হাজার টাকা ল্যাপটপ এখনো উদ্ধার হয়নি।